মানবাধিকার হল মানুষের জন্মগত, স্বাভাবিক এবং সার্বজনীন অধিকার—যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, লিঙ্গ, মতাদর্শ, আর্থিক অবস্থা বা অন্য কোনো ভিত্তিতে হরণ করা যায় না।
মানুষ হিসেবে আমরা শুধুমাত্র মানুষ হওয়ার কারণেই যে সম্মান, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার দাবি করতে পারি—সেই দাবিগুলোকেই বলা হয় মানবাধিকার।
জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালে “সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা (Universal Declaration of Human Rights – UDHR)” প্রণয়ন করে, যেখানে ৩০টি মৌলিক মানবাধিকার ধারায় প্রকাশ করা হয়েছে।
জীবনের অধিকার:
প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
সমান মর্যাদা ও অধিকার:
সকল মানুষ সমান মর্যাদা ও অধিকারে অধিকারী।
শারীরিক নিরাপত্তার অধিকার:
কাউকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, নির্যাতন বা হত্যা করা যাবে না।
অভিব্যক্তির স্বাধীনতা:
প্রত্যেকের মত প্রকাশের অধিকার আছে।
ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা:
প্রত্যেকেই নিজের ধর্ম পালন বা ধর্মান্তর করার অধিকার রাখে।
শিক্ষার অধিকার:
মৌলিক শিক্ষা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে হওয়া উচিত।
চাকরি ও ন্যায্য মজুরির অধিকার:
প্রত্যেকেরই কাজ করার এবং কাজের বিনিময়ে ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকার আছে।
বাসস্থান ও খাদ্যের অধিকার:
মানুষ যেন নিরাপদে বসবাস করতে পারে এবং পর্যাপ্ত খাদ্য পায়—তা নিশ্চিত করা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত।
আইনের দৃষ্টিতে সমতা:
প্রত্যেকেই আইনের সামনে সমান এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার:
মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে সভা বা মিছিল করার অধিকার রয়েছে।
নিজে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা
বৈষম্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে প্রতিবাদ ও সহযোগিতা করা
ন্যায় ও মানবতার পক্ষে কথা বলা